এম,এ রাশেদ
বগুড়ার ধুনট উপজেলায় নিমগাছি ইউনিয়নের মাজবাড়ী এলাকায় ইছামতি নদী থেকে দীর্ঘদিন যাবত খননযন্ত্র (ড্রেজার মেশিন) বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে। নদীর গভীর থেকে অব্যাহত বালু উত্তোলনের ফলে ভাঙনের ঝুঁকিতে পড়েছে নদীর তীরবর্তী ফসলি জমি। এই বালু উত্তোলন করছেন উপজেলা চিকাশী ইউনিয়নের পার লক্ষ্মীপুর গ্রামের মোঃ সোরাব সরকারের ছেলে বালু ব্যবসায়ী ও ড্রেজার মালিক মোঃ সাদ্দাম হোসেন।
শনিবার (২২ই অক্টোবর) বিকাল সাড়ে ৫টার সময় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার মাজবাড়ী পূর্ব পাড়া গ্রামের পাশ দিয়ে ইছামতি নদী বহমান। নদীর পূর্ব পাশে মাজবাড়ি গ্রাম। গ্রামে ইছামতি নদীতে প্লাস্টিকের ড্রাম ও বাঁশ দিয়ে মাচা তৈরি করে সেখানে খনন যন্ত্র বসানো হয়েছে। ৫ জন শ্রমিক সেখানে কাজ করছেন।
খননযন্ত্র দিয়ে নদীর তলদেশ থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। পাইপ দিয়ে এসব বালু ফেলা হচ্ছে চিকাশী ঝিনাই গ্রামে সেখান থেকে বালু বিক্রি করা হয় । বালু শ্রমিকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা প্রায় এক সপ্তাহ ধরে সেখান থেকে বালু তুলছেন। কোন সমস্যা না হলে আরো বালু উত্তোলন চলমান থাকবে।
বর্তমানে নদীর বালু উত্তোলনের ফলে নদীতে স্রোত বৃদ্ধি পেয়ে তীরবর্তিী আবাদি জমি ও বসতভিটা ভাঙনের আশংকা করছে এলাকার থানীয় ব্যক্তি হাকিমুদ্দিন,সাইফুল, নুরু সালাম, হইবার পাইকার, জনাব আলী, আফিজার, ইউনুস আলী বলেন অবাধে বালু উত্তোলন করা হলেও প্রশাসন কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন স্থানীয় লোকজন।
বালু ব্যবসায়ী সাদ্দাম হোসেন জানান, আমি প্রশাসন ও স্থানীয় কিছু ব্যক্তিদের ম্যানেজ করে বালু উত্তোলন করি।
ধুনট উপজেলা নির্বাহী অফিসার সঞ্জয় কুমার মহন্ত বলেন, কেউ যদি অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে সঙ্গে সঙ্গে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উপজেলার প্রতিটি এলাকায় অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। প্রশাসন কখনো অন্যায় কাজের সাথে আপোষ করে না।