এম,এ রাশেদ,স্টাফ রিপোর্টারঃ
বগুড়ার ধুনটে বিয়ের ৭ দিনপর সুমাইয়া আক্তার বাসনা (১৫) নামে এক নববধুর আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। ২৮ মে রবিবার সকালে উপজেলার কালেরপাড়া ইউনিয়নের কাদাই গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত বাসনা ওই গ্রামের বাদশা প্রামানিকের মেয়ে। এ ঘটনার বিবরন থানা পুলিশ কে লিখিত অবগত করে বাদশা প্রামানিত।
লিখিত কিবরন জানা যায়, গত ৯ মাস আগে প্রেমের সম্পর্ক করে বাদশা প্রামানিকের মেয়ে সুমাইয়া আক্তার বাসনাকে বিয়ে করে পার্শ্ববর্তি সরুগ্রাম পশ্চিমপাড়া এলাকার সাইদুল ইসলামের ছেলে বিপ্লব হোসেন। বিয়ের কিছুদিন পর পারিবিরিক ভাবে মেনে নেয় বাদশা প্রামানিকের পরিবার। সংসার চলাকালিন অবস্থায় চলতি বছরের গত ১৫ এপ্রিল সাংসারিক বিষয় নিয়ে স্ত্রী বাসনাকে মারধর করে স্বামী বিপ্লব হোসেন।
পরে বাসনা রাগ করে স্বামীর বাড়ি থেকে পার্শ্ববর্তি হাঁসখালি গ্রামে বোনের বাড়িতে যায়। সেখানে অবস্থান করে চিকিৎসা নিয়ে কাদাই গ্রামে বাবার বাড়ি চলে আসে। পরবর্তিতে ঈদুল ফিতরের ২/৩ দিন আগে স্বামী বিপ্লবকে তালাক দিয়ে যথারিতি স্কুলে যাতআত শুরু করে। যাতআতের পথে বিপ্লবের সাথে আবারও সখ্যতা হয়। পরে আত্মহত্যার এক সপ্তাহ আগে পুনরায় বিপ্লবকে বিয়ে করে বাবার বাড়িতে থাকে বাসনা।
পুনরায় বিয়ের খবর জানতে পেরে গত ২৬ মে বাসনাকে গালিগালাজ করে তার পরিবার। ২৮ মে রবিবার সকালে ঘর থেকে বের হয়ে বারান্দায় গলায় ওড়না পেঁচিয়ে বাসনাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায় তার মা চাঁনমনি। পরে তার ডাক চিৎকারে পরিবারের সবাই এগিয়ে এসে মাটি নামানোর পর বুঝতে পারে বাসনার মৃত্যু হয়েছে। পরে বিষয়টি থানায় লিখিত ভাবে অবগত করে নিহত বাসনার বাবা বাদশা প্রামানিক।
ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ রবিউল ইসলাম জানান, লাশ উদ্ধার করে বগুড়া শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। সকল আইনী প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে।