এম,এ রাশেদ,স্টাফ রিপোর্টারঃ
বগুড়ার শিবগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ মঞ্জুরুল আলম এর হস্তক্ষেপে আত্মহত্যার হাত থেকে রক্ষা পেলেন ভ্যানচালক শহিদুল ইসলাম।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত ২৭ ডিসেম্বর রাতে উপজেলার পশ্চিম জাহাঙ্গীরাবাদ গ্রামের মৃত মোশারফ হোসেনের ছেলে শহিদুল ইসলাম পরিবারের সাথে বিভন্ন বিষয়ে বাক বিতন্ডতায় জড়িয়ে পরে। এক পর্যায়ে ভ্যান চালক শহিদুল ইসলাম স্ত্রী’র খালেদা বিবি ও মেয়ে সুমির উপর অভিমান করে গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। বিষয়টি তার স্ত্রী টের পেয়ে ৯৯৯ ফোন করলে থানার অফিসার ইনচার্জ তাৎক্ষতিন পুলিশ পাঠিয়ে ভ্যান চালককে উদ্ধার করে।
ভ্যান চালক শহিদুল ইসলাম জানান, ১০ বছর আগে শিবগঞ্জ পৌর এলাকার তেঘড়ি গ্রামের মোঃ দুলু প্রামানিকের ছেলে ফারুক প্রামানিক এর সাথে শহিদুলের মেয়ে সুমি আকতার এর বিবাহ হয়। বিবাহ হওয়ার পর তাদের সংসারে একটি কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। হঠাৎ করেই তাদের সংসারে বিবাদের সৃষ্টি হয়।
পরে সুমি তার একমাত্র কন্যা সন্তান নিয়ে দীর্ঘ ৬ বছর ধরে দরিদ্র পিতার বাড়ীতে বসবাস করেন। গত কয়েকদিন আগে সুমি’র স্বামী ফারুক ২ লক্ষ টাকার যৌতুক দিলে সুমিকে তার স্বামীর ঘরেঞ নিয়ে যাবে।
এ শর্ত পূরণ করতে ভ্যান চালক সুমির বাবা হিমসিম খেয়ে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে এবং আত্মহত্যা করার পথ বেচে নেন। ঘটনাস্থলে পৌছে শিবগঞ্জ থানা পুলিশ তার মেয়ের সংসার সমাধানে আসস্ত করলে তখন তার মুখে হাসি ফোটে নতুন করে
বেঁচে থাকার সপ্ন দেখেন ভ্যান চালক শহিদুল ইসলাম।
শিবগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ মনজুরুল আলম বলেন, ৯৯৯ ফোনে পেয়ে তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে গিয়ে ভ্যান চালককে উদ্ধার করা হয়েছে। ভবিষ্যতে ভ্যান চালক আর আত্মহত্যা করবে না বলে জানিয়েছেন।
