শেরপুর(বগুড়া)প্রতিনিধি:
বগুড়ার শেরপুর উপজেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা লিটনের বিরুদ্ধে অনৈতিক আচরণ,দলীয় ভাবমুর্তি ক্ষুণ্ন করাসহ নানা অভিযোগ উঠেছে। খোদ উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতিসহ উপজেলা ও ইউনিয়ন কৃষকলীগের নেতারা তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেছেন।
গত রবিবার (২ অক্টোবর) বাংলাদেশ কৃষক লীগ বগুড়া জেলা শাখার সভাপতি আলমগীর বাদশা বরাবরে লিখিত সভার কার্যবিবরণীসহ এ অভিযোগ দেয়া হয়েছে। এতে উপজেলা কৃষকলীগ ও ইউনিয়ন কৃষকলীগের সভাপতি সম্পাদকসহ ৭১জন নেতৃবৃন্দের স্বাক্ষর রয়েছে।
লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ কৃষকলীগ শেরপুর উপজেলা শাখার সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হবার পর গোলাম মোস্তফা লিটন দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা না করে অভিনব কায়দায় চাদাঁবাজি করে সংগঠনের ভাবমুর্তি ক্ষুণ্ন করছেন। এছাড়া দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতি নিয়ে সরকার বিরোধী কথা বলা, দলের সভাপতিকে সাংগঠনিক কাজে সহযোগিতা না করাসহ দলের গঠনতন্ত্র ভঙ্গ করে স্বেচ্ছাচারী কর্মকান্ডে লিপ্ত আছেন। এছাড়া তার বিরুদ্ধে মাদকসেবন ও অনৈতিক কর্মকান্ডের অভিযোগও করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ কৃষক লীগ শেরপুর উপজেলা শাখার সভাপতি এমএ মালেক জানান, তার অনৈতিক কর্মকান্ডের প্রতিবাদে গত ২৯ সেপ্টেম্বর শেরপুর উপজেলা কৃষকলীগের এক বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে তিনি উপস্থিত হন নি। তবে দলের উপজেলা নেতৃবৃন্দসহ ইউনিয়ন কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সভার রেজুলেশনে স্বাক্ষর করেছেন। সভায় সাধারণ সম্পাদক লিটনের অনৈতিক ও অসাংগঠনিক কর্মকান্ডের প্রতিবাদ জানিয়ে তার বিরুদ্ধে সাংগঠিক ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানানো হয়। পরে জেলা কমিটির সভাপতি সাধারণ সম্পাদক বরাবরে লিখিত অভিযোগ ও রেজুলেশনের কপি জমা দিয়েছি।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত উপজেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা লিটন জানান, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা মিথ্যা। এ বিষয়ে দলীয় সিদ্ধান্ত হলে সব জানতে পারবেন।
বগুড়া জেলা কৃষক লীগের সভাপতি আলমগীর বাদশা জানান, শেরপুর উপজেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক লিটনের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি তদন্তপুর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।