শেরপুর (বগুড়া)প্রতিনিধি:
বগুড়ার শেরপুরের আওয়ামীলীগ নেতা ও ব্যাবসায়ী মর্তুজা কাউছার অভি হত্যা মামলার প্রধান দুই আসামী জাহাঙ্গীর আলম ও এনামূল মোসলেমিন সোহাগ ওরফে চাকু সোহাগ ১২ দিন পর বগুড়ার বিজ্ঞ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী-৫ আদালতে ১০ অক্টোবর সকালে আত্মসমর্পন করেছে।
মামলা তদন্তকারী কর্মকতা এসআই আব্দুস সালাম জানান, গত ২৮ সেপ্টেম্বর বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলা নয়াপাড়া এলাকায় মুজাহিদ কার ওয়াশ সেন্টারের পিছনে আওয়ামীলীগ নেতা ও ব্যাবসায়ী মর্তুজা কাউছার অভিকে দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় ২৯ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে অভির স্ত্রী খাদিজা আকতার লিমা বাদি হয়ে ৮ জনের বিরুদ্ধে শেরপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রেক্ষিতে ওইদিন রাতেই ৫ কে আটক করা হয়।
বাকি ৩ জনকে আটক করার জন্য শেরপুর উপজেলা, কাজিপুর, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ সহ বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালানো হয়। কিন্তু তারা বিভিন্ন সময় স্থান পরিবর্তন করার কারণে তাদের আটক করা যায়নি। আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে ১০ অক্টোবর সোমবার সকালে মামলার প্রধান দুই আসামী জাহাঙ্গীর আলম ও এনামুল মোসলেমিন সোহাগ ওরফে চাকু সোহাগ বগুড়া বিজ্ঞ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী-৫ আদালতে আত্মসমর্পন করে।
এ ব্যাপারে শেরপুর থানার অফিসার ইনাচর্জ মো. আতাউর রহমান খোন্দকার বলেন, বগুড়া কোর্ট পরিদর্শকের মাধ্যমে জানতে পারি যে, মামলার প্রধান দুই আসামী বিজ্ঞ আদালতে আত্মসমর্পন করেছে। মামলায় এজাহারভুক্ত ৮ জন আসামীর মধ্যে ৭ জন এখন জেল হাজতে। বাকি আসামী জাহিদ হাসান রকিকে আটকের জন্য বিভিন্ন স্থানে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।