বিশেষ প্রতিবেদন:
ভার্জিনিয়ার উডব্রিজ এলাকা থেকে প্রবাসী শাহাদাত ভাই গাড়ি নিয়ে এসেছেন টাইসন কর্নারে আমাদের হোটেলে।
ওয়াশিংটনের আবহাওয়া বেশ চমৎকার। শীতের মাত্রাটাও সহনীয়। আমরা রওয়ানা হলাম গ্রেট ফলসের উদ্দেশ্যে। চারপাশে অত্যাধুনিক শপিং মল. সুউচ্চ কমার্শিয়াল ও আবাসিক ভবন যেমন আছে, তেমনি আছে নয়নাভিরাম লেক, নদী, সবুজে ঘেরা জনপদ।
সড়কের দুই পাশে দৃষ্টিনন্দন গাঢ সবুজ বন আর মাঝে কালো ফিতের মতো উঁচু নিচু ৮ লেনের মসৃণ রাস্তা ধরে চলেছি আমরা পাঁচ জন।
ভার্জিনিয়া প্রদেশ প্রাকৃতিকভাবে বেশ সমৃদ্ধ। যেদিকেই তাকাই চারপাশের সবুজের সমারোহ ভার্জিনিয়াকে আলাদা মাত্রা দিয়েছে।এখানকার প্রকৃতি যতটা শৈল্পিক, তার চেয়েও বেশি পরিকল্পিতভাবে সাজিয়ে উপস্থাপন করা হয়েছে।
গ্রেট ফলস পার্ক এলাকায় আমাদের পৌঁছাতে প্রায় বিকেল হয়ে গেল। গাড়ি থেকে নেমে পায়ে হেটে কিছু দুর যাবার পর শুনতে পেলাম পানি গড়িয়ে পড়ার শব্দ। গ্রেট ফলস জলপ্রপাতের দৃশ্য দেখতে কয়েকটি স্থানে ঝুলবারান্দার মতো করা হয়েছে। দর্শনার্থীরা সেখানে দাঁড়িয়েই উপভোগ করছে চারদিকের নয়নাভিরাম দৃশ্য।
অনেক ওপর থেকে সাদা জলরাশি সমান্তরালভাবে এসে লাফিয়ে পড়ছে অনেক নিচের পাথরে। তারপর পাথুরে দেয়ালে ধাক্কা খেয়ে গড়িয়ে পড়ছে আরও নিচে। এমনিভাবে গভীর জলধারা ছুটে চলছে বন-প্রান্তর, লোকালয় ছাড়িয়ে আরও অনেক দূরে। আর এখান থেকেই বিখ্যাত পটোম্যাক নদীর জন্ম।এ নদীর দৈর্ঘ্য প্রায় ৬৫২ কিলোমিটার।