স্টাফ রিপোর্টার
বগুড়ার কাহালু উপজেলার কালাই ইউনিয়নের কালাই খাঁপাড়ার বকুল তলা, কালাই ঘোনপাড়া, কালাই শিবতলা হাটের মহা শশ্বান, কালাই পাইকপাড়া, কালাই থিয়টপাড়া গ্রামের পাশে দিয়ে বয়ে যাওয়া নাগর নদী থেকে আবারও অবৈধভাবে সাইফুল ইসলাম হাসু, লিটন সরকার, জাক্বের, আরমান, আছির, দুলুন, ছবির, হারুন, বুলু, মামুন খাঁ, আল আমিন, মেজবা ও সামীম খন্দকারের নেতৃত্বে কালাই ইউনিয়নে কালাই খাঁপাড়ার বকুলতলা, কালাই ঘোনপাড়া প্রিক্যাডেট মাদ্রাসার পিছনে, কালাই শিবতলা হাটের মহা শ্বশান এলাকায়, পাইকপাড়া, থিয়টপাড়ার নাগর নদী থেকে একাধিক বার ভ্রাম্যমান করার পরও আবারও মাটি ও বালু উত্তোলনের চলছে মহা উৎসব চলছে।
ভূমি ও বালু দস্যুরা নাগর নদীকে সাগরে পরিনত করছে। সরোজমিনে গিয়ে দেখা যায় অবৈধ ভাবে কয়েকটি ড্রেজার মিশিন দিয়ে কয়েকটি পয়েন্টে দিন রাত বালু উত্তোলন করছে এবং কয়েকটি ভেকু মিশিন দিয়ে দিন রাত মাটি কাটছে। সারাদিন রাতে শত শত ট্রাক ভত্তি করে মাটি ও বালি নিয়ে যাচ্ছে। এলাকাবাসী জানান মাটি বালু উত্তোলনের কারনে হুমকির মুখে পড়ছে নাগর নদীর আশে পাশের কয়েকটি গ্রাম ধংসের পথে চলে যাচ্ছে। কালাই খাঁপাড়া ও কালাই ঘোষপাড়া গ্রামের স্থানীয় কয়েকজন জানান একাধিকবার ভ্রাম্যমান করার পরও আবারোও নাগর নদী থেকে মাটি ও বালু তোলা উত্তোলন করা শুরু করেছে যার ফলে রাস্তায় সব সময় ট্রাক চলাচলের কারণে কোমলমতি ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা ঠিকমতো স্কুলে যাওয়া আসা করতে পারে না ট্রাকের শব্দে লোকজন ঠিকমত বাড়িতে থাকতে পারে না ও রাস্তায় ঠিক মত চলা ফেরা করা যায়না।
তিনি আরো জানান এলাকাবাসীরা ভূমি ও বালু দস্যুদের ভয়ে কিছু বলতে পারেনা। কালাই ঘোনপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের কয়েক জন শিক্ষক জানান এই অবৈধ বালু ও মাটির ট্রাক যাওয়া আসার কারনে বিদ্যালয়ে ছাত্র ও ছাত্রীর উপস্থিত হার খুবই কম ট্রাকের শব্দে ঠিক মতো ক্লাস পরিচালনা করা যায়না। এ ব্যাপারে প্রশাসনকে জানানো হয়েছে অনেকবার কিন্তু কোন স্থায়ী পদক্ষেপ নেন না। একাধিকবার ভ্রাম্যমাণ হয়েছে কিন্তু কোন লাভ হয় না আজকে ভ্রাম্যমান করলে আগামীকাল থেকে আবার মাটি ও বালু তোলা শুরু হয়। এব্যাপারে মোবাইল ফোনে সাইফুল ইসলাম হাসু, লিটন সরকার, জাক্বের, আরমান, আছির, দুলুন, ছবির, হারুন, বুলু, মামুন খাঁ, আল আমিন, মেজবা ও সামীম খন্দকার জানান আমরা প্রশাসনকে ম্যানেজ করে কাজ করছি।
কালাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সবুজ মোবাইলে ফোনে জানান এব্যাপারে আমি কিছু বলতে পারবোনা। নাগর নদী রক্ষা কমিটি নিরব ভূমিকা পালন করছে। এলাকাবাসীর দাবি অতি দ্রুত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে স্থায়ী ভাবে নাগর নদীকে রক্ষা করতে বিভাগীয় কমিশনার রাজশাহী ও জেলা প্রশাসক বগুড়া, জেলা পুলিশ সুপার বগুড়া মহোদয় ও কাহালু উপজেলা প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন এবং এই ভূমি ও বালু দস্যুদের কঠিন শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।