বগুড়া প্রতিনিধি:
জ্ঞাত আয় বহিভুত ৯ কোটি ৭০ লাখ ৩১ হাজার ৫৯ টাকা ৫৯ পয়সার সম্পদ অর্জনের অভিযোগ এনে দুদক কর্তৃক দায়েরকৃত মামলায় বগুড়া পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়র ও কাউন্সিলর, শ্রমিকলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং বগুড়া মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সামছুদ্দীন শেখ হেলালের পক্ষে দাখিলী সময়ের আবেদন নামঞ্জুর করে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানার আদেশ দেয়া হয়েছে।
বুধবার (২০ মার্চ) আসামি সামছুদ্দীন শেখ হেলালের জামিনের আবেদন শুনানীর জন্য বগুড়ার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদলতে দিন ধার্য্য ছিল। আসামি সামছুদ্দীন শেখ আদালতে হাজির না হয়ে তার আইনজীবীর মাধ্যমে সময়ের আবেদন করলে সিনিয়র স্পেশাল জজ এ কে এম মোজাম্মেল হক চৌধুরী শুনানী অন্তে সময়ের আবেদন নামঞ্জুর করে ওই আদেশ দেন।
দুর্নীতি দমন কমিশন বগুড়া জেলা কার্যালয়ের তৎকালীন উপ পরিচালক মোঃ মনিরুজ্জামন বাদী হয়ে জেলা কার্যালয়ে ওই আসামির বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহিভুত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ এনে দুর্নীতি দমন কমিশন আইনে বগুড়া পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়র ও কাউন্সিলর বগুড়া মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসামি মোঃ সামছুদ্দীন শেখ হেলালের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
মামলাটি তদন্তকালে দুর্নীতি দমন কমিশন ওই আসামি মোঃ সামছুদ্দীন শেখ হেলালের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহিভুত স্থাবর ও অস্থাবর ৯ কোটি ৭০ লাখ ৩১ হাজার ৫৯ টাকা ৫৯ য়সার সম্প পাওয়া যায়।
মামলাটি তদন্ত শেষে দুদক বগুড়া জেলা র্কাালয়ের সহকারী পরিচালক মোঃ হাফিজুর রহমান আসামি সামছুদ্দীন শেখ হেলাল ও তন্তে প্রাপ্ত তার স্ত্রী দ্বিতীয় স্ত্রী আবে জমজম (নাজী) দ্বয়কে অভিযুক্ত করে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে গত ২৬ ডিসেম্বর স্বাক্ষরিত অভিযোগ পত্র বগুড়ার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে দাখিল করেন। আসামি মোঃ সামছুদ্দীন শেখ হেলাল বগুড়া শহরের চকসুত্রাপুর শহী বেলু রোডের মৃত মজিবর রহমানের ছেলে।