এম,এ রাশেদ,স্টাফ রিপোর্টারঃ
বগুড়ার ধুনটের চৌকিবাড়ি ইউনিয়নের বিশ্বহরিগাছা গ্রামের জহুরুল ইসলাম নামে এক ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে সরকারী ভালনারেবল উইমেন বেনিফিট (ভিডব্লিউবি)’র ১২ বস্তা চাল আটক করেছে পুলিশ।
চৌকিবাড়ি ইউনিয়নের দরিদ্র মানুষের পুষ্টির অভাব পুরুনের জন্য ২৬৪ জন সুবিধা ভোগীকে সরকারী ভালনারেবল উইমেন বেনিফিট (ভিডব্লিউবি) আওতায় প্রতি মাসে ৩০ কেজি ওজনের এক বস্তা করে চাল বিনামুল্যে বিতরন করা হয়।
গত ২৩ই সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় চৌকিবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ থেকে পুষ্ঠিহীন দরিদ্রদের মাঝে জুন ও জুলাই মাসের চাল বিতরন করা হয়। এলাকাবাসীর সংবাদের ভিত্তিতে ধুনট থানার এস,আই মুনজুর মোর্শেদ সোমবার সন্ধ্যায় চাল ব্যবশায়ী জহুরুলের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ১২ বস্তা চাল আটক করেছেন।
চৌকিবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান হাসানুল করিম পুটু বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় থেকে সুবিধাভোগীদের মাঝে বিতরন করা হয়েছে। কিন্ত ইউনিয়ন পরিষদের আশে পাশে কোন চাল কেনা বেচা হয় নি। সুবিধা ভোগীরা হয়তো পরিষদ থেকে চাল নিয়ে গিয়ে অন্য জায়গায় থেকে বিক্রি করেছেন।
ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ সাইদুল ইসলাম জানান, সরকারী চাল আটক করার বিষয়ে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ধুনট উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক জুয়েল ইসলাম জিতু কালেরপাড়া ইউনিয়নের একই প্রকল্পের চাল কেনা বেচার সময় স্থানীয় কান্তনগর বাজারে হেউট নগর গ্রামের মৃত ভুলু প্রাং এর ছেলে পাশা মিয়া (৪৫), নামের এক ব্যবশায়ীকে হাতে নাতে ধরে ফেলে। পরে দেন দরবারের মাধ্যমে ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে ওই ব্যবশায়ীকে কয়েক বস্তা চাল সহ ছেড়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে চাল ব্যবশায়ী পাশা জানান, সুবিধা ভোগী হতদরিদ্র দুস্থরা আমার কাছে চাল বিক্রি করেছেন। এই চাল কেনা অপরাধ হলে আমি কিনতাম না। তারপরে খাদ্য পরিদর্শক আমাকে পুলিশে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ১০ হাজার টাকা নিয়েছেন।
বিষয়টি জানতে চাইলে খাদ্য পরিদর্শক জুয়েল ইসলাম জিতু জানান, রিলিফের চাল কেনা বেচার খবর পেয়ে সোমবার বিকালে তিনি কান্তনগর বাজারে গিয়েছিলেন। কিন্ত পাশা নামের চাল ব্যবশায়ীর কাছ থেকে কোন টাকা তিনি নেন নি। তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে।