মিন্টু ইসলাম
বগুড়া শেরপুরে চলমান পরিস্থিতিতে মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে কয়েকগুণ কাঁচা মরিচ ২৮০ টাকা কেজি থেকে বর্তমানে ১৮০ কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে কমেছে একশো টাকা। চলতি জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে কাঁচা মরিচের দাম ছিলো ১২০ টাকা কেজি থেকে ১৩০ টাকা ছিলো। পরের সপ্তাহের দিনগুলোতে কোটা আন্দোলনের কারণে বাজারে অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়ায় বেড়েছে কাঁচা মরিচের দাম ২৮০ টাকা কেজি, আবার কখনো ২৬০ টাকা, ২৪০ টাকা কেজি মরিচের দাম ছিলো।
এখন কোটা আন্দোলনের প্রভাব না থাকায় মরিচের দাম কমতে শুরু করেছে আমাদের উত্তরাঞ্চলের বগুড়া তথা শেরপুরবাসীদের জন্য সুখবর বৈকি। তাই ২৫ জুলাই বৃহস্পতিবার বগুড়া শেরপুরের বিকাল বাজার রোডে
জীবন জীবিকার তাগিদে চলা সাধারণ মানুষের মধ্যে তাই কমদামে কাঁচা মরিচের কেনাকাটা বেড়েছে দেখা যায়। বগুড়া শেরপুরে বিকাল বাজার রোডে ভ্যানে করে কাঁচা মরিচ বিক্রি করছেন বগুড়া থেকে আসা ব্যবসায়ী আব্দুল হামিদ ও জিল্লুর রহমান তারা দুজন মিলে উত্তরাঞ্চলের জলঢাকা নিলফামারী থেকে পাইকারি দামে কাঁচা মরিচ এনে বগুড়া শহর ও শেরপুরের বিভিন্ন মার্কেটের সামনে বাজারে ভ্রাম্যমাণ বাজারের মতো ভ্যানে করে বিক্রি করছেন ১৮০ টাকা কেজি কাঁচা মরিচ হ্যান্ড মাইকের মাধ্যমে কথা বলে প্রচার করে ক্রেতাদের ডেকে।
তাদের এই মরিচ বিক্রির ধরণ জনমনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে এবং সবাই খুশি হয়ে কিনছে তাদের কমদামের কাঁচা মরিচ। মরিচ ক্রেতা উত্তরাপ্লাজার ব্যবসায়ী শিপলু বলেন একদিন আগেই মরিচ কিনেছি ৮০ টাকা পোয়া ৩২০ টাকা কেজি দরে মরিচ আজ ১৮০ টাকা কেজি তাই এক কেজি নিলাম বাড়ির জন্য। কোম্পানির চাকরি জীবি আব্বাস আহমেদ বলেন আমরা যে বেতন পাই তাতে বেশি দামে কিনে খাওয়া কষ্টকর তাই আমি হাফ কেজি মরিচ কিনলাম ৯০ টাকা দিয়ে।
মরিচ বিক্রেতারা জানান আমরা প্রতিদিন বগুড়ার শেরপুরসহ বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ঘুরে মরিচসহ আরও অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস যেমন মরিচ, পিয়াজ, রসুন, আদা, বেগুন, লাউসহ যখন যেটা কমদামে পাইকারি বাজার থেকে কিনতে পাই সেগুলো আমরা মানুষের মাঝে কমদামে অল্পলাভে বিক্রি করি এবং সবসময় করে থাকি। এতে ভালো লাভ হয় পরিবার নিয়ে ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।
তাদের এই ভ্যানে করে হ্যান্ড মাইকের মাধ্যমে কথা বলে কাঁচা মরিচ বিক্রির উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে শেরপুরের ব্যবসায়ীরা।