এম,এ রাশেদ,স্টাফ রিপোর্টারঃ
বগুড়া সদরের লাহিড়ীপাড়া ইউনিয়নের দোবাড়িয়া মসজিদ ও মন্দিরের ৩.৫৩ একর জায়গা সহ কয়েকটি পিকুরের নামে সিভিল মামলা ( ৭২৪/২০২১ ইং) চলাকালে মসজবদ ও মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে জবর দখলের অভিযোগ উঠেছে।
সরে জমিনে ও মসজিদ ও মন্দির কমিটি সূত্রে জানা গেছে সদরের দোবাড়িয়া মসজিদ ও মন্দির সহ কয়েকটি পুকরের নামে ৩.৫৩ একর সম্পত্তি প্রায় ১০০ বছরের অধিক সময় ধরে দোবাড়িয়া মসজিদ সহ এলাকার আরও মসজিদ, মন্দির ও অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নের জন্য এ পুকুর গুলির থেকে আয়ের টাকা দিয়ে চলে আসছিল। পুকুরটি এলাকার মৃত ময়েজ উদ্দিনের নাতনী সাদিকা নাছিম বানু তার নানার সম্পত্তি দাবী করে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়ে বগুড়া জেলা প্রশাসকের একটি আদেশ নামা সাইন বোর্ড লাগিয়ে ১৬/১১/২২ ইং তারিখে উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা ও থানা পুলিশের উপস্থিতিতে লাল কাপড় লাগিয়ে সাইনবোর্ড টাঙ্গীয়ে দেওয়া হয়।
বাদী সাদিকা নাছিম বানুর সাথে কথা বললে তিনি জানান পুকুর গুলির বৈধ মালিক আমরা। এতোদিন এ এলাকার কিছু ভূমি দস্যুরা পুকুরগুলি জোর করে দখল নিয়ে ভোগ করত। আজ আমরা আইনের মাধ্যমে পুকুরগুলি ফেরৎ পেলাম। এব্যাপারে মসজিদ কমিটির সদস্য জালাল উদ্দিন, মোয়াজ্জেম আবেদ আলী, আঃ বাছেদ, সাজু ও নুর জাহানের সাথে কথা বললে তারা জানান ১০০ বছরের অধিক সময় ধরে এলাকার সকল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের নামে এ পুকুরগুলি। সাদিকা নাছিম বানুর ভগ্নীপতি পুলিশের কর্মকর্তা হওয়াই ক্ষমতার অপব্যবহার করে জোর করে সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে পুকুরগুলি দীর্ঘদিন যাবৎ জবর দখলের চেষ্টা করে অদ্য ২৬/১১/২৩ ইং তারিখে ভুমি কঅমকর্তা, পুলিশ ও সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে পুকুরে লাল কাপড় লাগিয়ে তাদের বলে জবর দখল করে ।
পুকুরগুলি বিষয়ে কোর্টে ৭২৪ /২১ইং একটি মামলা চলমান, সিভিল মামলা চলমান থাকাকালে কি ভাবে পুকুর গুলি তার হয়। এটা আর কিছু নয়, ক্ষমতা ও সন্ত্রাসী বাহিনীর পেশি শক্তির প্রয়োগ। তারা আরও জানান মামলায় যদি তারা রায পায় আমরা মসজিদ ও মন্দির কমিটির সকল সদস্য সেগুলি ছেড়ে দিব। ইজারাদার জালাল উদ্দিন শেখ বলেন আমরা পুকুরগুলি ইজারা নিয়েছি, কেউ যদি তাদের বৈধ কাগজ পত্র দেথাতে পারে তাহলে আমারা তাদের সরনাপন্ন হবো এবং ইজারার অর্থ তাদেরকে দিব। উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা নাছিম রেজার সাথে কথা বললে পুকুর দখলের বিষযে কোনা ভিডিও বক্তব্য না দিয়ে তিনি বলেন আমরা কাউকে পুকুর দখল করে বা কাউাকে পুকুর ফেরৎ দিতে আসিনি, আমরা এসেছি এখানে আইন শৃংখোলার কোন অবনতি যাতে না ঘটে।
এলাকার একজন বয়স্ক মহিলা নুরজাহান জানান আমার বিবাহের ৪০/৫০ বছর পূর্ব থেকেই এপুকুর গুলিল আয় থেকে মসজিদের উন্নয়নে কাজ হয়ে আসছে, আমি সহ এলাকার অন্যান্য আরো নারী পুরুষের নামেও সাদিকা নাছিম বানুর গংরা মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল খাটিয়েছে। আমরা মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা সহ প্রশাসনের কাছে এ হায়েনা ও ক্ষমতার অপব্যবহার কারীদের হাত থেকে বাঁচতে চাই,, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান গুলিকে বাঁচাতে চাই। তাই তাদের সহযেগীতা কামনা করছি।