এম,এ রাশেদ,স্টাফ রিপোর্টারঃ
প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প (এলডিডিপি), প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় বগুড়ায় দিনব্যাপী প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল বগুড়ার আয়োজনে অফিস চত্বরে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উদ্বোধনী এ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আনিসুর রহমান। জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাখেন বগুড়া-৬ সদর আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রাগেবুল আহসান রিপু।
এসময় তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর থেকে দুধ, ডিম ও গোশত উৎপাদনে তথা গবাদী পশু-পাখি পালনে ব্যাপক উন্নয়ন ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে প্রাণিসম্পদ বিভাগ। সরকারের কার্যকরি বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে দেশের প্রতিটি জেলার প্রাণিসম্পদের অভূতপূর্ব উন্নয়ন ঘটেছে। দুধ, মাংস ও ডিম উৎপাদন করে জেলার চাহিদা পূরণেও ব্যাপক ভূমিকা রেখেছে। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, জেলা পুলিশ সুপার (পদোন্নতিপ্রাপ্ত অতিরিক্ত ডিআইজি) সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী বিপিএম, পিপিএম। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মেজবাহুল করিম, জেলা ভেটেরিনারি অফিসার ডাঃ আব্দুর রাজ্জাক। অনুষ্ঠানের শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আনিসুর রহমান। এর আগে প্রধান অতিথিসহ সকল অতিথিরা বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন ও প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করা সকল স্টল পরিদর্শন করেন।
এরপর বিকাল চারটায় সমাপনী অনুষ্ঠানে সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার ফিরোজা পারভীনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাখেন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সুফিয়ান শফিক। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা কৃত্রিম প্রজনন কেন্দ্র’র উপ পরিচালক ডা: সারোয়ার হোসেন, সদরের প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. তুষার আহমেদ। অনুষ্ঠানে প্রধান সমন্বয়ক ছিলেন উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসার ডা: এ কে এম ফরহাদ নোমান। দিনব্যাপী এ প্রদর্শনীতে বিভিন্ন গবাদিপশুর স্টল, প্রাণিজ খাদ্যের স্টল, দুগ্ধজাত পণ্য ও বিভিন্ন প্রাণিজ প্রযুক্তিসহ প্রাণীজ পণ্যের টিকাসহ সর্বমোট ৪০টি স্টল অংশগ্রহন করে। উল্লেখ্য বগুড়া জেলায় এখন প্রায় ১৩ লক্ষ ৭৫ হাজর গরু এবং ৭ লক্ষ ৬০ হাজার ছাগল রয়েছে। প্রদর্শর্নীতে উন্নত জাতের গরু, ছাগল, ভেড়া, এলবিনো, দুম্বা, গয়াল, নিয়ে উপজেলার প্রান্তিক খামারীরা অংশগ্রহন করে। এছাড়াও পোষা প্রাণী, পেট ক্লিনিক ও হরেক রকমের পাখির প্রদর্শনীও ছিল উল্লেখযোগ্য। প্রাণিজ পণ্যের বিভিন্ন স্টলে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভীড় লক্ষ্য করা যায়।