দৈনিক প্রাণের শহর বিডি ডেস্ক:
বর্তমানে কিছু স্বামী আছে যারা শিক্ষিত হয়ে ও নিজের স্ত্রীর মানসিক অশান্তির কারন অথবা ইন্টারনাল হ্যাপিনেস সম্পর্কে যানে না এমনকি বুঝার চেস্টা ও করে না।
সত্যি বলতে এমন অনেক স্বামী আছেন তাদের যদি তার স্ত্রী বলে যে আমি তোমার সাথে মানসিকভাবে ভালো নেই তারা অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে। তখন হাসবেন্ডরা চিন্তা করে এবং স্ত্রীকে এটা ও বলে যে , তোমার ভরন পোষন সব কিছুর দায়িত্ব আমি নিচ্ছি তাহলে কেন তুমি ভালো নেই ? তারা এই কথা গুলো কেয়ার ও করে না।
কিন্তু কোন মেয়ে শুধু খাওয়া আর পোষাকের জন্য স্বামীর সংসারে আসে না। একটা মেয়ে বাবার বাড়িতে ও খাওয়া এবং প্রয়োজন ছাড়া থাকে না এমনকি যে কোন মানুষই যেখানে থাকুকনা কেন আল্লাহ তার রিযিকের ব্যবস্থা করে দেয়। তাই সব কিছুর পরে দিনশেষে অন্তত একবার নিজের স্ত্রীকে জিজ্ঞেস করুন সে ভাল আছে কিনা? সে আপনার থেকে আসলে কি চায়।আপনার সাথে সে খুশি আছে কিনা।
স্ত্রী আপনার নিজের তার সাথে দূরত্ব সৃস্টি করা মানে নিজের ক্ষতি নিজে করা। আপনি আপনার স্ত্রীর মানষিক অবস্থা বুঝার চেস্টা করুন। নিজের স্ত্রীকে প্রেমিকা মনে করেন। প্রেম করার সময় ছেলে মানুষ একটা মেয়ের পছন্দ অপছন্দ যেভাবে খুটিয়ে বের করে যদি সেভাবে স্ত্রীকে সময় দিত এইভাবে এত সম্পর্কের পতন হতো না।
দুনিয়াতে এমন ও অনেক মেয়ে আছে যারা হাসবেন্ডের প্রতি দয়াল ,তাদের যদি হাসবেন্ড খারাপ ও হয় , সময় ও না দেয় তারা কোনদিন অন্য ছেলেদের সাথে টাইম পাস ও করবে না । আপনাকে বুঝানোর চেস্টা করবে, যদি আপনি ও না বুঝেন তাহলে নিরবে কান্না করবে , অথবা সংসার ত্যাগ… অথচ স্বামীরা এতই ব্যর্থ যে তারা তখনো বুঝার চেস্টা ও করেনা কেন এমন হচ্ছে।
তাই আপনার ভুলের জন্য একটা মেয়েকে মানষিক কষ্ট একা দিনের পর দিন সহ্য করতে দেয়া ও অন্যায়। তাই নিজে স্ত্রীকে ভাল রাখুন। স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক তো আল্লাহর দেয়া নেয়ামত আর আল্লাহর কোন বান্দাকে কষ্ট দিলে আল্লাহ কষ্ট পান।
এখনই সময় নিজের স্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করুন তার ভিতরের কস্ট বের করে আনুন। নিজের মাকে কষ্ট দিলে মা যদি মন থেকে কষ্ট পেয়ে যায় মনে রাখবেন আপনার স্ত্রী ও আপনার বাচ্চার মা এবং আপনার শেষ জীবনের সঙ্গী। তিনিও কস্ট পেয়ে থাকেন।
তাই জীবনযুদ্ধে যে অবস্থাতেই থাকুন না কেন আপনার প্রিয়জন আপনার স্ত্রীর প্রতি ভালবাসা অটুট রাখুন। এতে করে ইহকাল পরকালের জন্য জটিল ও কঠিন হিসাব কষে জীবন যুদ্ধের সংসার চালিয়ে যান। তাহলেই সুখ শান্তিতে থাকা যায় এবং চিরবন্ধন আজীবন সম্মানের সঙ্গে কেটে যায় এবং যাবে বলে মনে করা হয়েছে জ্ঞানের বিকাশ অর্জনে।