বগুড়া প্রতিনিধি:
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা ঘিরে প্রতিমা তৈরির ধুম পড়েছে। কারিগরদের দম ফেলার ফুসরত নেই। কয়েক দিন বাদেই প্রতিমার গায়ে পড়বে রঙের আঁচড়।
আর ক’দিন পর দুর্গাপূজার মন্ডপে মন্ডপে ঢাক-ঢোল ও কাঁসর ঘন্টার ধ্বনি বাজবে ও ধুপের গন্ধ। বগুড়ায় এবার ৬৫৪ শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সব চেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব কে ঘিরে এখনও প্রতিমায় রঙের আঁচড় পড়েনি।
পুরোদমেই চলছে প্রতীমা তৈরীর কাজ। এতে ব্যস্ত সময় পার করছে প্রতিমা তৈরীর শিল্পীরা। আগামী ৯ অক্টোবর থেকে শুরু হবে শারদীয় দুর্গোৎসব। এবার দেবী আসবে দোলায় চড়ে আর গমন করবে গজে বা হাতিতে চড়ে। ৫ দিন ব্যাপী এই উৎসবকে ঘিরে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বগুড়া নিউমার্কেটসহ বিভিন্ন বিপনী বিতানে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় কেনাকাটায় ব্যস্ত। পূজার শুরুর আগদিন পর্যন্ত চলবে তাদের এই কেনাকাটা। এখনও অনেক কাদা-মাটির কাজ, কাজ শুকালে প্রতিমা গুলোতে পড়বে রঙের আঁচড়। প্রতিমা আগমনের জন্য মন্ডপে গুলোতে চলছে পরিস্কার পরিচ্ছন্নের কাজ। অনেক আগে মন্ডপে মন্ডপে প্রতিমা বানানো ও রঙের কাজ চলতো। কিন্ত এখন প্রতিমা শিল্পীরা তাদের নিজেদের জায়গায় অনেক প্রতিমা তৈরী করে প্রতিমাতে রঙে রাঙিয়ে সম্পন্ন করে মন্ডপে মন্ডপে সরবরাহ করে থাকে।
বগুড়ার প্রতিমা শিল্পী কাজল জানান, এখন বাঁশ ও কাঠে দাম বেড়ে যাওয়ায় প্রতিমা তৈরীতেও খরচ বেড়েছে। যে যত দামের মধ্যে প্রতিমা কিনতে চায় সেই সাইজের প্রতিমা সেই দামের প্রতিমা সরবরাহ করে থাকি। এদিকে জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন রঞ্জন সরকার জানান, এবার জেলায় ৬৫৪ টি পূজা মন্ডপে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। পুলিশ, আনসারসহ অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থা মোতায়েন থাকবে। যেসব মন্ডপে সিসি ক্যামেরা আছে সে গুলোকে সচল রাখতে বলা হয়েছে মন্ডপ কমিটিকে। এ ছাড়া গমন ও বর্হিগমনের পথ রাখতে বলা হয়েছে। মেয়েদের জন্য পৃথক পৃথক লাইন রাখতে বলা হয়েছে। শারদীয় দুর্গোৎসব পরিষদের বগুড়া পৌর পরিষদের সভাপতি পরিমাল প্রসাদ রাজ জানান, নিরাপত্তার জন্য সরকারী ভাবে যে নির্দেশনা থাকবে তার বাইরে তাদের স্বেচ্ছাসেবক দল ও তাদের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় আনসার রাখা হবে।