বগুড়া প্রতিনিধি:
বগুড়া লেখক চক্র আয়োজিত কবিতা সন্ধ্যা আবৃত্তিতে আমার লেখকসত্তার সবচেয়ে বড়ো স্বীকৃতি আজ ১০ মার্চ রবিবার পুর্ণরূপে প্রত্যক্ষ। বগুড়ায় যোগদানের পর পূর্ণ নিবেদন, সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতা নিয়ে সর্বদা দাপ্তরিক দায়িত্বে নিয়োজিত থেকেছি। পেশাগত পরিধিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে সচেতনভাবেই কাব্যচর্চা থেকে সাময়িক বিরতি নিয়েছি। কিন্তু সৃজনশীল ঋদ্ধ জনদের অনন্য সঙ্গ সবসময়ই উপভোগ করেছি।
বাংলাদেশে চলমান শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতি চর্চার অন্যতম পীঠস্থান বগুড়া। বিশেষ করে সাহিত্যিকদের সংগঠন বগুড়া লেখক চক্র সাহিত্যচর্চার ক্ষেত্রে অনন্য ভূমিকা পালন করে চলেছে। এই সংগঠনের সভাপতি কবি ইসলাম রফিক এবং অন্যান্য সদস্যবৃন্দ বেশ কিছুদিন ধরেই আমার লেখা কবিতা নিয়ে একটি সাহিত্যসভার জন্য অনুরোধ জানিয়েছিলেন। দু’বছরের অধিক সময় তাদের এই অনুরোধে সাড়া দিই নি। অবশেষে বগুড়া লেখক চক্রের আয়োজনে আমার লেখা কবিতা নিয়ে কবিতা সন্ধ্যার আয়োজন এই অচলায়তন ভেঙে ফেলে।
জেলা পরিষদ মিলনায়তনে কানায় কানায় পূর্ণ দর্শকদের সরব উপস্থিতিতে কবিতা সন্ধ্যায় আলোচনা পর্বে বরেণ্য, প্রাজ্ঞ ও বিদগ্ধ সাহিত্যিক ও অতিথিদের স্বতঃস্ফূর্ত প্রাণবন্ত উপস্থাপনাকালে আমার ভূমিকা – একজন মন্ত্রমুগ্ধ দর্শক। এরপর হৃদয়ের উষ্ণতায় বগুড়ার শ্রদ্ধেয় গুণীজন আমাকে বরণ করে নেন। এরপর কবি কর্তৃক স্বরচিত কবিতা পাঠ এবং কবিতা নিয়ে আলোচনা পর্বে সক্রিয় অংশগ্রহণ। পরবর্তী পর্বে কবিদের কবিতা নিবেদন এবং বাচিকশিল্পীদের অনন্য পরিবেশনা। সর্বশেষ সভাপতির বক্তব্যের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের যবনিকা পতন।
গভীর আনন্দের বিষয় এই যান্ত্রিক সময়ের মাঝেও হলভর্তি সাহিত্যপ্রেমী দর্শকেরা সন্ধ্যা ৭.০০ হতে রাত্রি ১০.৩০ পর্যন্ত গভীর মনোযোগ দিয়ে এই ব্যতিক্রমী সাহিত্যসভা পূর্ণ উপভোগ করেন। কবিতার প্রতি তাদের এই নিবেদন সাহিত্যিকদের জন্য অনন্য অনুপ্রেরণা।
একটি মনোরম সন্ধ্যা উপহার দেয়ার জন্য বগুড়া লেখক চক্রের সভাপতি কবি ইসলাম রফিকসহ সকল সভ্যকে সকৃতজ্ঞ ধন্যবাদ। এসময় বগুড়ার শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ রেজাউল করিম রেজা, শাজাহানপুর থানার অফিসার ইনচার্জসহ বগুড়ার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।