দৈনিক প্রাণের শহর বিডি ডেস্ক:
ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার হয়ে অংশগ্রহণ করার জন্য হাজার হাজার সেনা পাঠিয়েছে উত্তর কোরিয়া। একদিন আগে যুক্তরাষ্ট্রের এমন দাবির পর তা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক শোরগোল ফেলে দিয়েছে। এর মধ্যেই এবার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও রাশিয়ায় উত্তর কোরিয়ার সেনা উপস্থিতির কথা পরোক্ষভাবে মেনে নিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ার কাজান শহরে ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনের অবকাশে বৃহস্পতিবার রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে পুতিনের কাছে রাশিয়ায় উত্তর কোরিয়ার সেনা উপস্থিতির বিষয়ে মতামত চাওয়া হয়। সে সময় পুতিন বিষয়টি নাকচ করে দেননি।
খবরে বলা হয়, রাশিয়ায় পিয়ংইয়ং সেনা পাঠিয়েছে বলে আমেরিকা দাবি করার পর পুতিন বিষয়টিতে পরোক্ষভাবে সম্মতি জানিয়েছেন। সংবাদ সম্মেলনে পুতিন বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার বিষয়ে মস্কো কখনো সন্দিহান ছিল না। আমরা আমাদের উত্তর কোরীয় বন্ধুদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার মধ্যে রয়েছি।
পুতিনের এমন মন্তব্যের পর আন্তর্জাতিক সামরিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাতের সম্ভবত আরও বিস্তৃতি ঘটতে যাচ্ছে। তারা বলছেন, পিয়ংইয়ং সরাসরি এই সংঘাতে যোগ না দিলেও অস্ত্র এবং সেনা দিয়ে রাশিয়াকে সহযোগিতা করার অর্থ হলো দেশটি পরোক্ষভাবে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে।
এর আগে বুধবার মার্কিন সরকার দাবি করে, দেশটির হাতে এমন শক্ত দলিল রয়েছে যা দিয়ে প্রমাণ করা যায় যে, উত্তর কোরিয়া রাশিয়ায় প্রায় ৩,০০০ সেনা পাঠিয়েছে। এসব সেনাকে ইউক্রেন যুদ্ধে ব্যবহার করা হতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করে ওয়াশিংটন। একইসঙ্গে এটিকে চলমান ইউক্রেন সংঘাতের বড় রকমের বিস্তৃতি হিসেবে দেখছে পাশ্চাত্য।
বৃহস্পতিবার রাতের ওই সংবাদ সম্মেলনে পুতিন আরও বলেন, মস্কো-পিয়ংইয়ং সহযোগিতা কতদূর পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে সেটি আমাদের নিজস্ব ব্যাপার এবং তা নিয়ে কাউকে ব্যাখ্যা দিতে যাব না। তিনি ইউক্রেন যুদ্ধে হস্তক্ষেপ করার জন্য উল্টো পাশ্চাত্যকে দায়ী করেন।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে রাশিয়া ইউক্রেনে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ শুরু করে। মস্কো অভিযোগ করছে, ইউক্রেনে পশ্চিমা দেশগুলোর সমরাস্ত্রের ঢল চলমান যুদ্ধকে প্রলম্বিত করছে।