এম,এ রাশেদ,স্টাফ রিপোর্টারঃ
বগুড়া জেলার নন্দীগ্রাম উপজেলার ভাটরা ইউনিয়নের শশিনগর-পশ্চিমপাড়া থেকে রুস্তমপুর পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের একটি গ্রামীণ রাস্তা দীর্ঘ প্রায় তিন যুগ ধরে সংস্কারের অভাবে চরমভাবে বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে। কাঁচা রাস্তাটির অধিকাংশ স্থানে কাদা, গর্ত ও জলাবদ্ধতার কারণে পথটি এখন কার্যত অচল হয়ে পড়েছে। ফলে প্রতিদিন প্রায় তিন হাজার গ্রামীণ মানুষ এবং একটি উচ্চ বিদ্যালয় ও দুটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শত শত শিক্ষার্থী সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনের সাবেক সংসদ সদস্যরা – ড. জিয়াউল হক মোল্লা, মোস্তফা আলী মুকুল, মোশারফ হোসেন ও রেজাউল করিম তানসেন – নির্বাচনের সময় বারবার এই সড়ক সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিলেও পরবর্তীতে তা বাস্তবায়নে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেননি।
এমন দীর্ঘদিনের দুর্ভোগের প্রেক্ষিতে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ও ইসলামী আদর্শ স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোয়াজ্জেম হোসেন মিজান ব্যতিক্রমী ও মানবিক উদ্যোগ গ্রহণ করেন। তিনি ব্যক্তিগত উদ্যোগে এবং নিজস্ব অর্থায়নে রাস্তাটির সবচেয়ে খারাপ অংশে ইট, খোয়া ও মাটি ফেলে সাময়িক সংস্কারের ব্যবস্থা করেন, যাতে মানুষ অন্তত স্বল্প পরিসরে হলেও স্বস্তিতে চলাচল করতে পারে।
অধ্যক্ষ মিজান ছাত্রজীবনে বগুড়া আজিজুল হক কলেজ ছাত্রদলের সহ-সভাপতি, নন্দীগ্রাম উপজেলা ছাত্রদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক এবং ভাটরা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে তিনি একজন শিক্ষাবিদ হিসেবে পরিচিত।
তিনি জানান, “এই এলাকার মানুষের দুঃখ-কষ্ট আমার হৃদয়ে বাজে। তাই নিজ উদ্যোগে যতটুকু পেরেছি করেছি। অতীতে বহুবার রাস্তাটি পাকাকরণের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করেছি, এমনকি রোড সেকশনও করানো হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে নতুন এমপি এসে সেটি বাতিল করে দেন।”
এলাকাবাসী বলেন, “অধ্যক্ষ মিজানের মতো মানুষই প্রকৃত জনপ্রতিনিধি হওয়ার যোগ্য। তিনি মনোনয়ন পেলে আমরা ধানের শীষ প্রতীকের বিজয়ের জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করব।”
সবশেষে অধ্যক্ষ মিজান সরকার ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, “এই রাস্তাটি যেন দ্রুত পাকাকরণ করা হয়, সেজন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানাই।”

